জাতীয়
পাঁচ শিক্ষার্থীকে উদ্ধার অভিযানে গোপন আস্তানার সন্ধান, ইউনিফর্ম ও প্রশিক্ষণ সরঞ্জাম উদ্ধার
২০ এপ্রিল, ২০২৫
2 মিনিট
ডেস্ক রিপোর্ট।। খাগড়াছড়িতে অপহৃত শিক্ষার্থীদের উদ্ধারে যৌথ বাহিনীর অভিযানে সন্ত্রাসীদের একটি গোপন আস্তানার সন্ধান পাওয়া গেছে।
ডেস্ক রিপোর্ট।। খাগড়াছড়িতে অপহৃত শিক্ষার্থীদের উদ্ধারে যৌথ বাহিনীর অভিযানে সন্ত্রাসীদের একটি গোপন আস্তানার সন্ধান পাওয়া গেছে। এ সময় চাঁদা আদায়ের রসিদ, ল্যাপটপ, মোবাইল, সামরিক ইউনিফর্মসহ প্রশিক্ষণ সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। সন্ধান পাওয়া আস্তানাটি ইউপিডিএফের বলে পুলিশ ও যৌথবাহিনীর সূত্রগুলো দাবি করেছে।
আজ সোমবার (২১ এপ্রিল) ভোর পাঁচটার দিকে সদর উপজেলার ভাইবোনছড়া ইউনিয়নের পূর্ণচন্দ্র কারবারি পাড়ায় যৌথবাহিনী অভিযান চলায়। এ সময় যৌথবাহিনীর সদস্যরা একটি তালাবন্ধ ঘর দেখতে পান। এরপর স্থানীয় লোকজনের সাহায্যে তালা ভেঙে ঘরটিতে তল্লাশি চালানো হয়। এ সময় ৩ জোড়া পোশাক ও ১৯টি ইউনিফর্ম, পিস্তলের গুলি, ১টি ল্যাপটপ, ওয়াকিটকি সেট, দুটি মুঠোফোন, একটি মাইক্রোফোন, একটি ক্যামেরা, একটি প্রিন্টার, সেলাইমেশিন, তাঁবু, নেট, লোহার শেকল, খাবারের তৈজসপত্র ও খাবারের কাঁচামাল, চাঁদা আদায়ের রসিদসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। তবে ওই আস্তানায় অপহরণের শিকার শিক্ষার্থীদের রাখা হয়েছিল কি না, তা জানা যায়নি।
খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ মো. আমান হাসান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। অপহৃত ব্যক্তিদের উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রাখা হবে বলে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
অভিযানের বিষয়ে জানতে চাইলে খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো.আরেফিন জুয়েল বলেন, যৌথ বাহিনীর অভিযানের অংশ হিসেবে আজ ভোরে ভাইবোনছড়া ইউনিয়নের বেশ কিছু এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় পূর্ণচন্দ্র কার্বারি পাড়ার একটি ঘর থেকে ইউপিডিএফের একটা গোপন আস্তানার সন্ধান পায় যৌথবাহিনী। সেখান ইউপিডিএফের প্রশিক্ষণ সরঞ্জামসহ ল্যাপটপ, মোবাইল, ওয়াকিটকি উদ্ধার করা হয়। তবে কাউকে আটক করা যায়নি। এখনো পাঁচ শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। শিক্ষার্থীদের উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত থাকবে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার জন্য বিভিন্ন সড়কেও চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।
বিজু উৎসব উদ্যাপন শেষে ফেরার পথে ১৬ এপ্রিল সকালে খাগড়াছড়ির গিরিফুল এলাকা থেকে পাঁচ শিক্ষার্থী ও তাঁদের বহন করা অটোরিকশার চালককে অজ্ঞাত স্থানে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। অপহৃত শিক্ষার্থীরা হলেন পিসিপির চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্য ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ছাত্র রিশন চাকমা, চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থী মৈত্রীময় চাকমা ও অলড্রিন ত্রিপুরা, নাট্যকলা বিভাগের দিব্যি চাকমা ও প্রাণীবিদ্যা বিভাগের লংঙি ¤্রাে। তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। অপহরণকারীরা চালককে ছেড়ে দিলেও পাঁচ শিক্ষার্থীর খোঁজ এখনো পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় শুরু থেকে ইউপিডিএফকে দায়ী করে আসছে জেএসএস- সন্তু লারমা সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি নিপুন ত্রিপুরা। তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন ইউপিডিএফের অন্যতম জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা। তিনি বলেন, অপহরণের সঙ্গে আমাদের সংগঠনের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এ ধরনের প্রতিহিংসাপরায়ণ রাজনীতি আমাদের দল করে না। আমরা শুরু থেকে ভ্রাতৃঘাতী সংঘাতের বিপক্ষে।