বিজ্ঞান
বাংলাদেশের তারুণ্যের প্রশংসা মিলল নাসার বাণীতে
২৮ এপ্রিল, ২০২৫
2 মিনিট
“গত ছয় বছরের মধ্যে চারবার বাংলাদেশ নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জে গ্লোবাল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এখান থেকে ভবিষ্যতে বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী, এমনকি নভোচারীও উঠে আসবে।”
মহাকাশ গবেষণা ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার দলিল ‘আর্টেমিস অ্যাকর্ডে’ সম্প্রতি স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ। আর এর পরপরই বাংলাদেশের তারুণ্যের প্রশংসা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা।
নাসা’র ভারপ্রাপ্ত প্রধানের পক্ষ থেকে পাঠানো বার্তায় উল্লেখ রয়েছে, “বাংলাদেশের তারুণ্য মহাকাশ গবেষণা অন্বেষণের প্রতি যে আবেগ ও উৎসাহ দেখিয়েছে, তা বিশ্ববাসীকে মুগ্ধ করেছে। গত ছয় বছরের মধ্যে চারবার বাংলাদেশের উদ্ভাবকরা নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ -এ গ্লোবাল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।”
বার্তায় নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ-এর গ্লোবাল কমিউনিটি ম্যানেজমেন্ট টিমের অ্যালিসন জেমস বলেন, “আমি নিশ্চিত, এখান থেকে ভবিষ্যতে অসাধারণ বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী, এমনকি নভোচারীও উঠে আসবে।”
নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ-এ নিয়মিত অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ।
দেশের সফটওয়্যার নির্মাণ ও আইটি সেবা খাতের শীর্ষ সংগঠন বেসিস ২০১৪ সাল থেকে নিয়মিত এ প্রতিযোগিতার বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের আয়োজন করে আসছে। এতে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি এই উদ্যোগে অর্থায়ন, রিসোর্স প্রদান, দেশব্যাপী ভেন্যু ব্যবস্থাপনা এবং বিজয়ী দলগুলোর আন্তর্জাতিক ভ্রমণসহ প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে আসছে বেসিস।
এই ধারাবাহিক প্রচেষ্টার ফলেই গত এক দশকে বাংলাদেশ চারবার গ্লোবাল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
২০১৮ সালে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘টিম অলিক’ ‘বেস্ট ইউজ অফ ডেটা’ শ্রেণিতে বিজয়ী হয় তাদের চাঁদে ভ্রমণের ভার্চুয়াল রিয়ালিটি প্রজেক্টের জন্য। ২০২১ সালে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) ও বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি (বিএইউইটি)-এর ‘টিম মহাকাশ’ ‘বেস্ট মিশন কনসেপ্ট’ শ্রেণিতে গ্লোবাল চ্যাম্পিয়ন হয়। ২০২২ সালে ‘টিম ডায়মন্ডস’ ‘মোস্ট ইনস্পিরেশনাল’ শ্রেণিতে বিজয় অর্জন করে এবং সর্বশেষ ২০২৩ সালে ‘টিম ভয়েজার্স’ ‘বেস্ট স্টোরিটেলিং’ শ্রেণিতে বিশ্বসেরা হয়।
এই ধারাবাহিক সাফল্যের বিষয়ে বেসিস সহায়ক কমিটির চেয়ারম্যান রাফেল কবির বলেন, “এই প্রতিযোগিতা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে স্বাধীনভাবে চিন্তা করার একটি দরজা খুলে দিচ্ছে।”
“এ ধরনের উদ্যোগের মাধ্যমে আমাদের তরুণ সমাজের মধ্যে ভবিষ্যতে বিজ্ঞানী হওয়ার আকাঙ্ক্ষা ও স্বপ্ন জন্ম নেবে।”