রাজনীতি
নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ ভোট ব্যবস্থায় জবাবদিহিতা বৃদ্ধি পাবে : তারেক রহমান
২৫ এপ্রিল, ২০২৫
2 মিনিট
রতন সিং,দিনাজপুর থেকে।। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন,নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ ভোট ব্যবস্থা যখন তৈরি হবে তখন স্বয়ংক্রিয়ভাবে জবাবদিহিতাও বৃদ্ধি পাবে।
রতন সিং,দিনাজপুর থেকে।। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন,নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ ভোট ব্যবস্থা যখন তৈরি হবে তখন স্বয়ংক্রিয়ভাবে জবাবদিহিতাও বৃদ্ধি পাবে। তিনি বলেন,মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে হলে নির্বাচন তথা ভোটাধিকারের ব্যবস্থা করতে হবে। নির্বাচন ব্যবস্থাকে যত বেশি শক্তিশালী ও চালু রাখতে পারবো তত বেশি জবাবদিহিতা বৃদ্ধি পাবে। সাধারণ মানুষ যখন তার নিজের ভোট দিতে পারবে, জবাবদিহিতা যত বেশি তৈরি হবে তখন কিন্তু যারা দায়িত্বে থাকবে তারা বাধ্য থাকবে যে কোন একটি সমস্যা হলে তারা ঠিক মতো কাজ করবে। তখন যদি ঠিকমত কাজ না করে তারা মানুষের কাছে জবাব দিতে বাধ্য থাকবে। কারণ দুই বছর হোক বা পাঁচ বছর পরে হোক আবার ভোটের সম্মুখীন হতে হবে। সাধারণ মানুষের কাছে আবার যেতে হবে এই বিষয়টি যখন দায়িত্বশীলদের মধ্যে কাজ করবে তখন কিন্তু সেই দায়িত্বশীলরা ঠিকঠাক ভাবেই কাজ করবে। তাই আমাদের এই জবাবদিহিতা তৈরি করতে হবে। এই জবাবদিহিতা গত ১৫ বছর দেশে ছিল না বলেই এত লুটপাট ও দুঃসাশন হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে দিনাজপুর শহরের নাজমা গার্ডেনে জেলার নেতাদের সঙ্গে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ভার্চুয়ালী প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, স্কুল থেকে সমাজ, রাষ্ট্র ব্যবস্থা সর্ব ক্ষেত্রে ঐকমত্যের ভিত্তিতে সমস্যা নিরসনের চেষ্টা করতে হবে। নারীর ক্ষমতায়ন ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের অবদানের কথা উল্লেখ করেন। এ সময় সংসদে নারীর আসন সংখ্যা ১০০ তে উন্নতি করার উপরে গুরুত্বারোপ করেন। দেশের সকল সমস্যার সমাধানে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
দিনাজপুর জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট মোফাজ্জল হোসেন দুলালের সভাপতিত্বে ও জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মুরাদ আহমেদের সঞ্চালনায় রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃত্তি প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। প্রধান আলোচক হিসেবে ছিলেন বিএনপির মিডিয়া সেলের প্রধান অধ্যাপক ডা. মওদুদ আহমেদ। আলোচক ছিলেন অধ্যাপক মোরশেদ খান, মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, ফারজানা শারমিন পুতুল, মো: আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী ও ফজলুর রহমান খোকন।