জাতীয়
দেশে ফিরেছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ
৮ জুন, ২০২৫
2 মিনিট
প্রথম আলো।। সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ দেশে ফিরেছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
প্রথম আলো।। সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ দেশে ফিরেছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
গতকাল রোববার (০৮ জুন) দিবাগত রাত পৌনে দুইটার দিকে আবদুল হামিদ থাইল্যান্ড থেকে রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। তিনটার দিকে তিনি বিমানবন্দর ছাড়েন।
ইমিগ্রেশন পুলিশের একটি সূত্র প্রথম আলোকে তাঁর দেশে ফেরার খবর জানিয়েছে। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ছোট ছেলে রিয়াদ আহমেদ ও শ্যালক ডা. নওশাদ খান।
আজ সোমবার (০৯ জুন) সকালে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এস এম রাগীব সামাদ বলেন, আবদুল হামিদ সাধারণ যাত্রীর মতোই দেশে এসেছেন।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্র জানায়, উড়োজাহাজ থেকে হুইলচেয়ারে করে আবদুল হামিদকে নামিয়ে আনা হয়।
গত ৭ মে দিবাগত রাতে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে আবদুল হামিদ দেশ ছাড়েন। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে।
ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও গুলি করার ঘটনায় কিশোরগঞ্জে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর বোন শেখ রেহানা, শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ১২৪ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়। গত ১৪ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ থানায় মামলাটি করা হয়।
আবদুল হামিদের দেশ ছাড়ার ঘটনায় সারা দেশে বিভিন্ন মহলে সমালোচনা ও বিক্ষোভ শুরু হয়। জেলা কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরীকে প্রত্যাহার করা হয়। এ ছাড়া ঢাকা বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশনে নিয়োজিত একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে প্রত্যাহার এবং উপপরিদর্শক ও সহকারী উপপরিদর্শক পদমর্যাদার দুজন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বিমানবন্দর দিয়ে কীভাবে বিদেশ গেলেন এবং এ ক্ষেত্রে কারও কোনো গাফিলতি রয়েছে কি না, তা তদন্তের জন্য তিনজন উপদেষ্টার সমন্বয়ে উচ্চপর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করে সরকার।
শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরারকে এই কমিটির সভাপতি করা হয়। আর দুই সদস্য হলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং নৌপরিবহন ও শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন।