জাতীয়
রেলের উচ্ছেদ অভিযান: খিলক্ষেতের দুর্গামন্দির ভেঙে ফেলা হলো
২৫ জুন, ২০২৫
2 মিনিট
ভেঙে ফেলা হয়েছে রাজধানীর খিলক্ষেতের সেই দুর্গামন্দির। বৃহস্পতিবার কুড়িল থেকে খিলক্ষেত পর্যন্ত রেলের জমি থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনাকালে মন্দিরটি ভেঙে ফেলা হয়।
অভিযানকালে আরও কিছু স্থাপনা ও অস্থায়ী দোকানপাটও ভেঙে ফেলে রেলওয়ে।
স্থানীয়রা বলেছেন, উচ্ছেদ অভিযানে রেলওয়ে থেকে পক্ষপাতমূলক আচরণ করা হয়েছে। রেলের জায়গার সব কিছু ভাঙা হয়নি। মন্দির ভাঙার সময় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অনেককে কান্না করতে দেখা যায়। মন্দির উচ্ছেদের সময় মন্দিরের পুরোহিত এবং হিন্দু নারী-পুরুষরা মন্দিরের সামনে বসে প্রতিবাদ জানালেও তাদের সরিয়ে উচ্ছেদ কার্যক্রম শেষ করে রেলওয়ে।
সরেজমিন দেখা যায়, টিনের তৈরি মন্দিরের অবকাঠামো উচ্ছেদ করা হয়। এ সময় মন্দিরের ভেতরে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে কয়েকজন নারী কান্না করছিলেন। পরে তাদের সরিয়ে মন্দিরের পুরো স্থাপনা ভেঙে জায়গা পরিষ্কার করে ফেলা হয়। মাটিতে বিছানো ইটের আস্তরও তুলে ফেলা হয়। মন্দির সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, আগাম নোটিশ ছাড়া মন্দির ভাঙা হয়। অভিযানকালে মন্দিরের প্রতিমাও ভেঙে ফেলা হয়। মন্দির ভাঙার প্রতিবাদে তারা আজকের রথযাত্রা বয়কট করার ঘোষণা দেন।
বিভাগীয় (ঢাকা) রেলওয়ে ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আরিফ কালবেলাকে বলেন, ঢাকা থেকে টঙ্গী পর্যন্ত রেলের সব জমি দখলমুক্ত করার কাজ চলছে। গত জানুয়ারিতে এ সংক্রান্ত নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আজ (গতকাল) কুড়িল থেকে খিলক্ষেত পর্যন্ত এক কিলোমিটার জায়গায় অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এটি অব্যাহত থাকবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রেলের জায়গায় মন্দির থাকার কথা না। তবুও উচ্ছেদের আগে সময় বেধে দেওয়া হয়। মন্দিরে থাকা বিগ্রহ ট্রাকে করে আগে সরিয়ে নেওয়া হয়। তারপর মন্দির ভাঙা হয়।
এদিকে খিলক্ষেতের দুর্গা মন্দির উচ্ছেদ ও প্রতিমা গুঁড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ ও মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি। দুই সংগঠনের এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, রথযাত্রা মহোৎসবের আগের দিন বুলডোজার দিয়ে মন্দির ও প্রতিমা ভেঙে দেওয়ার ঘটনা হিন্দু সম্প্রদায়ের মনে গভীর ক্ষত তৈরি করেছে। রেলওয়ের জমি বলা হলেও এখানে অন্যান্য স্থাপনা অক্ষত রয়েছে।