খেলা
পাকিস্তানই সন্ত্রাসবাদকে মদত দিচ্ছে! আবার দেশের বিরুদ্ধে সরব পাক ক্রিকেটার কানেরিয়া
২৫ এপ্রিল, ২০২৫
2 মিনিট
ডেস্ক রিপোর্ট।। দানিশ কানেরিয়া পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফকে আক্রমণ করেছিলেন। এ বার উপপ্রধানমন্ত্রী ইশাক দারের উপরে ক্ষুব্ধ তিনি।
ডেস্ক রিপোর্ট।। দানিশ কানেরিয়া পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফকে আক্রমণ করেছিলেন। এ বার উপপ্রধানমন্ত্রী ইশাক দারের উপরে ক্ষুব্ধ তিনি। পাকিস্তানের হিন্দু ক্রিকেটার দেশের নেতাদের কাজে খুশি হতে পারছেন না। খবর আনন্দবাজার’র।
পহেলগাঁওয়ে পর্যটক হত্যাকারী জঙ্গিদের ‘স্বাধীনতা সংগ্রামী’ বলেছেন পাক উপপ্রধানমন্ত্রী তথা বিদেশমন্ত্রী মহম্মদ ইশাক দার, যা মেনে নিতে পারছেন না কানেরিয়া। তিনি সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে লেখেন, যখন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী জঙ্গিদের ‘স্বাধীনতা সংগ্রামী’ বলেন, তখন সেটা শুধু অসম্মানের নয়, এটা বুঝিয়ে দেয় রাষ্ট্র সন্ত্রাসবাদকে মদত দিচ্ছে।
ইশাক বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) রাতে বলেছিলেন, ‘২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁও জেলায় যারা হামলা চালিয়েছে তারা হয়তো স্বাধীনতা সংগ্রামী।’ মঙ্গলবারের সন্ত্রাসবাদী হামলার জেরে ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত-সহ পাঁচ দফা পদক্ষেপ করেছে নয়াদিল্লি। তার জবাবে পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সরকারও আকাশসীমায় নিষেধাজ্ঞা, ব্যবসায়িক লেনদেন বন্ধের মতো একগুচ্ছ ‘জবাবি ব্যবস্থা’র কথা ঘোষণা করেছে। কূটনৈতিক টানাপড়েনের আঁচে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) এবং ভারত-পাক আন্তর্জাতিক সীমান্তে।
এর আগে কানেরিয়া পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফকে আক্রমণ করেছিলেন। তাঁর দাবি, শরিফের জন্যই পাকিস্তানে এত বাড়াবাড়ি হয়েছে জঙ্গিদের। পহেলগাঁওয়ের ঘটনার পরেই সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে কানেরিয়া লিখেছিলেন, ‘কেন এমন হয় যে ওরা কখনও স্থানীয় কাশ্মীরিদের আক্রমণ না করে ধারাবাহিক ভাবে হিন্দুদের আক্রমণ করেÑসে কাশ্মীরি পন্ডিতই হোক বা ভারতের কোনও প্রান্তের হিন্দুই হোক। কারণ সন্ত্রাস যতই ছদ্মবেশে হোক না কেন, একটাই দর্শন অনুসরণ করে। তার জন্য গোটা বিশ্বকে মূল্য চোকাতে হচ্ছে।’
জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় মঙ্গলবারের জঙ্গিহানার ঘটনায় অন্তত ২৬ জন পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় কয়েকটি সূত্রের মতে, নিহতের সংখ্যা অন্তত ২৮। সূত্রের খবর, হামলাকারীরা সংখ্যায় ছিল পাঁচ-ছ’জন।
জম্মু-কাশ্মীরে ছুটি কাটাতে গিয়েছিল কর্নাটকের এক পরিবার। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় জঙ্গিদের গুলিতে মৃত্যু হয় মঞ্জুনাথ রাওয়ের। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচেছেন স্ত্রী পল্লবী এবং তাঁদের পুত্র। কর্নাটকের শিবমোগ্গার বাসিন্দা পল্লবীর দাবি, অতর্কিত তাঁদের আক্রমণ করে তিন থেকে চার জন। তাঁর স্বামীকে খুন করার পর ওই চার জনের এক জন বলে, ‘তোকে মারব না। যা, মোদীকে গিয়ে বল।’