Thin-Left
Thin-Right

Advertisement

Top Advertisement
শাহজাদপুরে রবীন্দ্র কাছারিবাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা, দর্শনার্থী প্রবেশ বন্ধ
জাতীয়

শাহজাদপুরে রবীন্দ্র কাছারিবাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা, দর্শনার্থী প্রবেশ বন্ধ

১১ জুন, ২০২৫
3 মিনিট

প্রথম আলো।। সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে রবীন্দ্র কাছারিবাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। আজ বুধবার (১১ জুন) দুপুরে কাছারিবাড়ির কাস্টোডিয়ান হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

প্রথম আলো।। সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে রবীন্দ্র কাছারিবাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। আজ বুধবার (১১ জুন) দুপুরে কাছারিবাড়ির কাস্টোডিয়ান হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি করেন। এদিকে হামলার ঘটনার পর আজ থেকে কাছারিবাড়িতে দর্শনার্থীদের প্রবেশ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আছলাম আলী মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রথম আলোকে বলেন, রবীন্দ্র কাছারিবাড়িতে হামলার ঘটনায় জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। মামলায় শাহজাদপুর পৌর শহরের রূপপুর মহল্লার প্রবাসফেরত মো. শাহনেওয়াজকে প্রধান আসামি করে তাঁর ভাই সবুজ, হান্নান, সুমনসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ৫০ থেকে ৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে। শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার (১০ জুন) রাতে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছিল। এ ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করতে আজ সকালে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ও প্রতœতত্ত্ব অধিদপ্তরের উপপরিচালক (প্রশাসন) শেখ কামাল হোসেনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর মামলার সিদ্ধান্ত দেয়। এরপর দুপুরের দিকে কাছারিবাড়ির কাস্টোডিয়ান হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলার বাদী হাবিবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, আমরা তো স্থানীয় কাউকে নামে চিনি না। যে কারণে ঘটনার পর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত নামগুলো থেকে ১২ জনের নাম নিয়ে তাদের আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া সিসিটিভি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদগুলো জমা দিয়ে সেখান থেকে ৫০ থেকে ৬০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। পুলিশ সেগুলো দেখে আসামি শনাক্ত করতে পারবে। দর্শনার্থী প্রবেশ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ এদিকে রবীন্দ্র কাছারিবাড়িতে হামলা-ভাঙচুরের পর দর্শনার্থীদের প্রবেশ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে প্রতœতত্ত্ব অধিদপ্তর। বুধবার সকালে কাছারিবাড়ির কাস্টোডিয়ান হাবিবুর রহমান স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তি কাছারিবাড়ির প্রধান ফটকের সামনে লাগিয়ে দেওয়া হয়। কাস্টোডিয়ান হাবিবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, একটি অনাকাক্সিক্ষত ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার দুপুরে দুর্বৃত্তরা কাছারিবাড়িতে ঢুকে মিলনায়তনসহ কার্যালয়ে ভাঙচুর চালায় এবং কর্মচারীদের মারধর করে। এমন পরিস্থিতিতে দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে প্রতœতত্ত্ব অধিদপ্তর থেকে কর্তৃপক্ষ দর্শনার্থী প্রবেশ বন্ধ রাখার জন্য একটি বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। আজ সকালে বিজ্ঞপ্তিটি লিখে কাছারিবাড়ির প্রধান ফটকের সামনে লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, এখন দর্শনার্থী প্রবেশ বন্ধ থাকলেও ভেতরে তাঁদের দৈনন্দিন কার্যক্রম চলমান থাকবে। অবস্থার উন্নতি হলে আবার আগের মতো দর্শনার্থী প্রবেশের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে। ৮ জুন রবীন্দ্র কাছারিবাড়িতে এক দর্শনার্থীকে আটকে মারধর করা হয়। মারধরের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। মারধরের শিকার দর্শনার্থীর নাম মো. শাহনেওয়াজ। বাড়ি পৌর শহরের রূপপুর মহল্লায়। স্থানীয় লোকজন জানান, দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকার পর ঈদের ছুটিতে বাড়িতে এসে ৮ জুন বিকেলে স্ত্রী ও ভাতিজাকে নিয়ে কাছারিবাড়িতে ঘুরতে যান শাহনেওয়াজ। তখন দর্শনার্থীদের জন্য প্রবেশমূল্য নিয়ে টিকিট দেওয়া হয়। কিন্তু মোটরসাইকেল পার্কিংয়ের জন্য টাকা নিলেও টোকেন দেওয়া হয়নি। পরে কাছারিবাড়ি দেখা শেষে বের হওয়ার সময় মোটরসাইকেলের টিকিট দেখতে চান ফটকের দায়িত্বরত কর্মচারী। দেখাতে ব্যর্থ হওয়ায় শাহনেওয়াজের সঙ্গে বাগ্বিতন্ডায় জড়ান ওই কর্মচারী। একপর্যায়ে দুজনের মধ্যে হাতাহাতি হয়। পরে কাস্টোডিয়ানসহ অন্যরা এসে শাহনেওয়াজকে কিল-ঘুষি মারতে মারতে কার্যালয়ে নিয়ে আসেন। এরপর সেখানে আটকে তাকে লাঠি দিয়ে পেটানো হয়। খবর পেয়ে শাহনেওয়াজের অভিভাবক ও বিএনপির স্থানীয় নেতারা তাকে উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় শাহনেওয়াজ কাস্টোডিয়ানসহ কর্মচারীদের বিরুদ্ধে শাহজাদপুর থানায় ওই দিন রাতেই থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। হামলার ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবিতে ‘শাহজাদপুরের সর্বস্তরের জনগণ’ ব্যানারে গতকাল (১০ জুন) দুপুরে প্রেসক্লাব চত্বরে মানববন্ধন করা হয়। মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল শাহজাদপুরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে রবীন্দ্র কাছারিবাড়িতে ঢুকে পড়ে। এ সময় বিক্ষুব্ধ লোকজন কাছারিবাড়ির কাস্টোডিয়ানের কার্যালয়সহ মিলনায়তনের দরজা-জানালা ও আসবাব ভাঙচুর করেন। এ সময় বেশ কয়েকজন কর্মচারীকে মারধর করা হয়। খবর পেয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুশফিকুর রহমান ও থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

Share this article

জাতীয়

জাতীয় বিভাগের সর্বশেষ খবর এবং আপডেট পেতে এই বিভাগে নিয়মিত ভিজিট করুন।

Advertisement

Sidebar Advertisement