Thin-Left
Thin-Right

Advertisement

Top Advertisement
চিনের সংস্থার সঙ্গে জোট বেঁধে বৈদ্যুতিক সামগ্রী তৈরি করবে ভারত
দেশ-বিদেশের খবর

চিনের সংস্থার সঙ্গে জোট বেঁধে বৈদ্যুতিক সামগ্রী তৈরি করবে ভারত

১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
2 মিনিট

আনন্দবাজার।। রাশিয়া থেকে তেল আমদানি অব্যাহত রাখার জন্য ভারতের অধিকাংশ পণ্যের উপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ (মোট ৫০ শতাংশ) আমদানি শুল্ক আরোপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

আনন্দবাজার।। রাশিয়া থেকে তেল আমদানি অব্যাহত রাখার জন্য ভারতের অধিকাংশ পণ্যের উপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ (মোট ৫০ শতাংশ) আমদানি শুল্ক আরোপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে যে পণ্যগুলির উপর শুল্কছাড় রয়েছে, সেগুলির মধ্যে অন্যতম বৈদ্যুতিক সামগ্রী। ভারত-চিন নেতিবাচক সম্পর্কের আবহে চিনা পণ্য বয়কটের ডাক উঠেছিল। তবে চিনের তিয়ানজিন শহরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং শি জিনপিঙের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর বৈদ্যুতিক সামগ্রী উৎপাদনে জোয়ার আসবে বলে আশায় বুক বাঁধছেন স্থানীয় উৎপাদকেরা। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ‘ব্লুমবার্গ’-এর প্রতিবেদন অনুসারে, চিনের সংস্থাগুলির সঙ্গে যৌথ ভাবে বৈদ্যুতিক সামগ্রী উৎপাদন করার একটা সম্ভাবনা দেখছে ভারতের সংস্থাগুলি। সে ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীরাও অর্থ বিনিয়োগের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে পারেন। রাশিয়া থেকে তেল আমদানি অব্যাহত রাখার জন্য ভারতের অধিকাংশ পণ্যের উপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ (মোট ৫০ শতাংশ) আমদানি শুল্ক আরোপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে যে পণ্যগুলির উপর শুল্কছাড় রয়েছে, সেগুলির মধ্যে অন্যতম বৈদ্যুতিক সামগ্রী। সে ক্ষেত্রে উৎপাদন বৃদ্ধি পেলে উদ্বৃত্ত পণ্য আমেরিকায় রফতানি করতে পারবে ভারত। তবে চিনের সংস্থার সঙ্গে যৌথ ভাবে তৈরি করা বৈদ্যুতিক পণ্যের গুণগত মান নিয়ে আমেরিকা প্রশ্ন তুলতে পারে বলে ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে। সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)-র বৈঠকে যোগ দিতে রোববার (৩১ আগস্ট) চিন গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। বৈঠকের ফাঁকেই প্রেসিডেন্ট জিনপিঙের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন তিনি। বর্তমান ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সম্পর্ক মজবুত করার বিষয়ে সহমত হন মোদী এবং জিনপিং দু’জনেই। অনেকেই মনে করছেন ট্রাম্পের শুল্কনীতিই সংঘাত ভুলে কাছাকাছি আসতে বাধ্য করেছে ভারত এবং চিনকে। কোভিডের সময় বন্ধ হয়ে যাওয়া স্থলবাণিজ্য পুনরায় শুরু করার বিষয়ে কথা হয়েছে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে। কেন্দ্রের একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ভারতের অভ্যন্তরীণ চাহিদার কথা মাথায় রেখে দুস্প্রাপ্য খনিজ, কৃষিক্ষেত্রে ব্যবহৃত সার এবং টানেল বোরিং মেশিন (সুড়ঙ্গ খনন করার যন্ত্র) রফতানি করার বিষয়ে মোদীকে আশ্বস্ত করেছে চিন। দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক বাণিজ্য ফের গতি পেলে অনেক শিল্পক্ষেত্রই উপকৃত হবে বলে মনে করছেন ভারতের স্থানীয় উৎপাদকেরা। সে ক্ষেত্রে চিনের সংস্থাগুলির সঙ্গে যৌথ ভাবে বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রে উৎপাদন বাড়িয়ে নিতে পারবে তারা। বাইরে রফতানি তো বটেই, উৎপাদিত পণ্য দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারেও বিক্রি করা যাবে। চিনের তৈরি বৈদ্যুতিক পণ্য নানা বৈচিত্র এবং তুলনায় কম দামের জন্য জনপ্রিয়। কিন্তু সেগুলির গুণগত মান নিয়ে বহু সময়ই প্রশ্ন উঠেছে। ২০২০ সালে পূর্ব লাদাখে চিনের সঙ্গে সীমান্ত সংঘাতের পর চিনা পণ্য বয়কটের ডাক দেওয়া হয়েছিল। তার পরেও অবশ্য ভারতের বাজার থেকে সেই সমস্ত পণ্য পুরোপুরি উধাও হয়ে যায়নি। মোদী-জিনপিং নয়া ‘বন্ধুত্ব’র পর এ বার কী হয়, সে দিকে নজর রাখছেন বিনিয়োগকারীরাও।

Share this article

দেশ-বিদেশের খবর

দেশ-বিদেশের খবর বিভাগের সর্বশেষ খবর এবং আপডেট পেতে এই বিভাগে নিয়মিত ভিজিট করুন।

Advertisement

Sidebar Advertisement