সাংগঠনিক খবর
বৈচিত্র্যকে সম্মান করি, সাম্প্রদায়িকতা পরিহার করি, সম্প্রীতি বজায় রাখি’
১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
3 মিনিট
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।। আজ ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ (মঙ্গলবার) বিকাল ৪:০০ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘‘বৈচিত্র্যকে সম্মান করি, সাম্প্রদায়িকতা পরিহার করি, সম্প্রীতি বজায় রাখি’’
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।। আজ ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ (মঙ্গলবার) বিকাল ৪:০০ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘‘বৈচিত্র্যকে সম্মান করি, সাম্প্রদায়িকতা পরিহার করি, সম্প্রীতি বজায় রাখি’’- এই বিষয়টির আলোকে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত মানববন্ধন কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম। বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ডা. মাখদুমা নার্গিস রতœা, সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সীমা মোসলেম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মাসুদা রেহানা বেগম; আন্দোলন উপপরিষদ সম্পাদক রাবেয়া খাতুন শান্তি, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও আন্দোলন উপপরিষদ সদস্য বহ্নিশিখা দাশ পুরকায়স্থ।
সভাপতির বক্তব্যে ডা. ফওজিয়া মোসলেম বলেন, আমাদের সংবিধানে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলের জন্য সমতা, ন্যায়বিচার নিশ্চিতের মাধ্যমে মর্যাদাকে সর্বাগ্রে স্থান দেওয়া হয়েছে। এদেশে নানা জাতি, ধর্ম, বর্ণের এবং সংস্কৃতির লোকের বসবাস। সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিতে রাষ্ট্রের পাশাপাশি মানবাধিকার সংগঠন এবং সুশীল সমাজকে নিরাপদ পরিবেশ গড়ে তোলার দায়িত্ব নিতে হবে, তবে এক্ষেত্রে রাষ্ট্রের ভূমিকা আরো কার্যকর হওয়া আবশ্যক। রাষ্ট্রকাঠামো এমন হওয়া উচিত যাতে সকলে মিলে নিজ নিজ উৎসব নির্বিঘেœ পালন করতে পারে; তিনি এসময় নিজের দেশের ঐতিহ্যকে বোঝা, শেখা এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে রক্ষা করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু বলেন , বাংলাদেশ একটি ঐতিহ্যবাহী দেশ, এখানে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে বিভিন্ন ভাষাভাষীর জাতিগোষ্ঠীর বসবাস। দেশের সকল নাগরিকের মানবাধিকার রক্ষা করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। প্রতিবছর হিন্দু ধর্মের সার্বজনীন দূর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে নানা সাম্প্রদায়িক ঘটনা ঘটে থাকে। কিন্তু এসকল ঘটনা বন্ধে সরকারকে কোনো সুষ্ঠু পদক্ষেপ নিতে দেখিনি। তিনি এসময় বলেন, উৎসবকালে যেকোনো অনাকাঙ্খিত ঘটনা বন্ধ করতে হবে; এদেশে সকলের অবস্থান সম্প্রীতিপূর্ণ হতে হবে। সকলে যাতে নির্বিঘেœ দূর্গোৎসব পালন করতে পারে এজন্য সরকারকে জোরদার নিরাপত্তা নিশ্চিতের আহ্বান জানান তিনি।
উপস্থিত অন্যান্য বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ সবসময় দেশের বৈচিত্র্যকে ধারণ করেছে, বৈচিত্র্যকে এগিয়ে নিয়ে গেছে। আসন্ন দূর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে যেকোনো ধরণের অরাজকতা প্রতিহত করতে সরকারকে পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে তারা আরো বলেন সাম্প্রদায়িকতাকে পরিহার করতে হবে; বাংলাদেশের পতাকাতলে আমরা সবাই , কাজেই আমরা সবাই একই দেশের মানুষ। সাম্প্রদায়িকতা কখনোই প্রকৃত উন্নয়ন নিয়ে আসে না। উৎসব মানে আনন্দ। কিন্তু আনন্দের পরিবর্তে আমরা অনেক সময় নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকি। যা কোনভাবেই কাম্য নয়। সত্যিকার অর্থে আনন্দপূর্ণ পরিবেশে উৎসব পালনের পরিবেশ নিশ্চিত করতে ও নাগরিকদের ভয়ভীতি শঙ্কা কাটাতে রাষ্ট্রকে উৎসব পালনের আগে যেকোন অপ্রীতিকর ও অনাকাঙ্খিত ঘটনা প্রতিহত করতে পূর্ব প্রস্তুতি গ্রহনের আহ্বান জানান বক্তারা। পাশাপাশি তারা এসময় বলেন, বর্তমানে যে মব ভায়োলেন্সের সংস্কৃতি চালু হয়েছে সরকারকে যে কোন ভাবেই হোক তা বন্ধ করতে হবে।
উক্ত মানববন্ধন কর্মসূচিতে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর কমিটির নেতৃবৃন্দ, সম্পাদকমন্ডলী, পাড়া কমিটির সদস্য, কর্মকর্তা এবং সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। আজ মহিলা পরিষদের উদ্যোগে সকল জেলা শাখায় একযোগে এই কর্মসূচি পালিত হয়।
সঞ্চালনা করেন সংগঠনের প্রোগ্রাম অফিসার নুরুননাহার তানিয়া।