যুক্তরাজ্যে নতুন বৈশিষ্ট্যের ভাইরাস, আতঙ্কে পুরো ইউরোপ

1

।। আন্তর্জাতিক সংবাদদাতা।। যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাসের (কোভিড ১৯) নতুন ধরন (স্ট্রেইন) ছড়িয়ে পড়ার পর আতঙ্কে পুরো ইউরোপ। এর আগেই করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কড়া লকডাউন জারি করা হয়। যারা এখনো লকডাউনের ঘোষণা দেয়নি, তারাও খুব শিগগির লকডাউনের পথে হাঁটবে। ইউরোপের বেশির ভাগ দেশ যুক্তরাজ্যের সঙ্গে আকাশপথ, রেলপথসহ সব সীমান্ত বন্ধ ঘোষণা করেছে। এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাজ্য কার্যত ইউরোপ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এদিকে যুক্তরাজ্যে শনাক্ত হওয়া করোনার নতুন স্ট্রেইন আরও অন্তত চারটি দেশে শনাক্ত হয়েছে।

যুক্তরাজ্যে দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্বে একটি নতুন ধরণের এবং অধিক সংক্রামক করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ যুক্তরাজ্যে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। নতুন বৈশিষ্ট্যের এই করোনাভাইরাস লন্ডন এবং দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ডে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে বলে কয়েকদিন আগে জানান বৃটিশ স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। এ নিয়ে মারাত্মক উদ্বেগের পটভূমিতে রোববার হঠাৎ করেই লন্ডন এবং দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ডের বিরাট অংশ জুড়ে কঠোর লকডাউন জারি করা হয়।

স্থানীয় সময় গত রাত এগারোটা থেকে ফ্রান্স ৪৮ ঘন্টার জন্য যুক্তরাজ্যের সঙ্গে তাদের সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে। এর ফলে ইংলিশ চ্যানেলের তীরবর্তী ডোভারের ফেরি ও টানেল দিয়ে পার হয়ে সকল গাড়ি ও ট্রাকের ফ্রান্সে ঢোকা বন্ধ হয়ে যায়। দু-প্রান্তেই অসংখ্য গাড়ি ও  ট্রাক আটকা পড়েছে।

জার্মানি, ইতালি, বেলজিয়াম, আয়ারল্যান্ড, তুরস্ক এবং কানাডা ইতিমধ্যেই যুক্তরাজ্যের সাথে বিমান চলাচল স্থগিত করেছে। ইউরোপিয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলোর নেতারা সোমবার এক বৈঠকে বৃটেনের সঙ্গে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার নানা দিক নিয়ে আলোচনা করবেন। ভারতও যুক্তরাজ্য থেকে আসা বিমানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

এর বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়েছে শেয়ারবাজারে। তা ছাড়া ডলারের বিপরীতে বৃটিশ পাউন্ডের দামেও পতন ঘটেছে।

বৃটিশ গবেষকরা লন্ডন এবং আশে-পাশের অঞ্চলে যে ভাইরাসের বিস্তার দেখছেন, সেটিকে তারা নিউ ভ্যারিয়েন্ট, অর্থাৎ নতুন বৈশিষ্ট্যের ভাইরাস বলে বর্ণনা করছেন। তবে এটি যে আগেরটির চেয়ে অনেক বেশি প্রাণঘাতী বা মারাত্মক, সেরকম প্রমাণ তারা এখনো পাননি। নতুন বৈশিষ্ট্যের এই ভাইরাস মোকাবেলার ক্ষেত্রে করোনাভাইরাসের টিকা যে ভিন্ন ফল দিতে পারে – এমন কথাও অবশ্য তারা বলছেন না।